সৌদি যেতে যে ৩৩ পেশায় পরীক্ষা বাধ্যতামূলক
৩৩ খাতে বিদেশিদের নিয়োগের ক্ষেত্রে পরীক্ষা দিয়ে সনদ অর্জন বাধ্যতামূলক করেছে সৌদি আরব। সম্প্রতি জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোতে পাঠানো এক চিঠিতে বিষয়টি জানানো হয়।
সোমবার (১৪ আগস্ট) এক মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানান বিএমইটির মহাপরিচালক মো. শহীদুল আলম।
সভায় বিএমইটি জানায়, সৌদিতে আগে পাঁচটি খাতে বিদেশিদের কাজ করতে হলে দেশটির সনদ বাধ্যতামূলক করা হয়। এবার নতুন করে এর সঙ্গে আরও ২৮টি পেশা যোগ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ৩৩ পেশায় সৌদিতে কাজ করতে গেলে পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করেছে দেশটি। এজন্য বাংলাদেশ একটি পাইলট প্রকল্প হাতে নিয়েছে। যার অধীনে বাংলাদেশিদের পরীক্ষা দিয়ে সনদ দেখিয়ে সৌদিতে কাজ করতে যেতে হবে।
বিএমইটি বলছে, প্লাম্বার, ওয়েল্ডিং, অটোমোবাইল, ইলেক্ট্রিশিয়ান ও এসি মেকানিক-এ পাঁচটি খাতে শুরুতে পরীক্ষা দিয়ে সনদ দেখিয়ে কর্মে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। এখন এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ১৫ ধরনের নির্মাণকাজ, পাঁচ ধরনের টাইলিং, চার ধরনের গাড়ি মেরামত, প্লাস্টার কাজ এবং তিন ধরনের গাড়ির মেকানিক।
বাংলাদেশি কর্মীরা যেন এসব খাতে কাজ করতে সৌদি যেতে পারেন সে জন্য ছয়টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্ধারিত করা আছে। এগুলো হচ্ছে, বাংলাদেশ কোরিয়া কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (বিকেটিটিসি) ঢাকা ও চট্টগ্রাম এবং রাজশাহী, বরিশাল, কুমিল্লা ও টাঙ্গাইলের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি)।
বিএমইটির মহাপরিচালক বলেন, সৌদি আরব আমাদের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার। সম্প্রতি সৌদি দূতাবাস থেকে একটি চিঠিতে বলা হয়েছে, স্কিল ভেরিফিকেশন প্রোগ্রামের মাধ্যমে দক্ষতা দেখিয়ে কর্মীদের ভেরিফাই হয়ে যেতে হবে। সৌদি সরকার বলেছে ৩৩ ধরনের চাকরিতে গেলে পরীক্ষা দিয়ে যেতে হবে। এ নিয়ম সম্প্রতি ভারত ও পাকিস্তানে চালু করা হয়েছে।
শহীদুল আলম বলেন, নতুন এ নিয়মে কর্মীদের সৌদিতে যাওয়ার বিষয়ে পরীক্ষার দেওয়ার জন্য আমাদের ছয়টি সেন্টার অনুমোদন পেয়েছে। আমরা অনুরোধ করেছি যে, লোক যেহেতু অনেক বেশি যায় সেহেতু সেন্টার বাড়াতে হবে। কোন এজেন্সি যদি বলে যে কোনোভাবে সৌদি যাওয়া যাবে সেটা আর করা যাবে না। যার যে দক্ষতা সেটি যাচাই করে সনদ নিয়ে যেতে হবে। আমরা বলেছি, সনদ দেখে ভিসা দেওয়ার জন্য। যেন এটার দায় অন্য কারও ঘাড়ে না যায়।