ঘুরে আসুন

নুহাশপল্লী

বাংলাদেশের জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক কবি নাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের বাগানবাড়ি স্পট নুহাশ পল্লী ১৯৮৭ সালে ২২ বিঘা জমির উপর স্থাপিত নুহাশপল্লীর বর্তমান আয়তন প্রায় ৪০ বিঘা। অভিনেতা ডাঃ ইজাজ এখানকার জমিটি কিনতে সহায়তা করেন। হুমায়ুন আহমেদ এবং তাঁর প্রথম স্ত্রী গুলতেকিন আহমেদের একমাত্র পুত্র নুহাশের নামে নুহাশপল্লীর নামকরণ করা হয়েছে।

নুহাশপল্লীতে ঘুরে দেখার জন্য অনেক কিছুই রয়েছে যেমন-

১। গ্রামের বিশাল সবুজ মাঠ।

২। প্রায় ২৫০ প্রজাতির গাছ।

৩। হুমায়ুন আহমেদের কটেজ, ট্রিহাউজ, দাবা খেলার এবং নামাজপড়ার কক্ষ।

৪। ডিম্বাকৃতির সুইমিংপুল।

৫। টিনশেডের বিশাল বারান্দাসহ ‘বৃষ্টিবিলাস’ কটেজ ও ভুতবিলাস কটেজ।

৬। কাদামাটি ও টিন দিয়ে তৈরি করা শুটিং স্টুডিও।

৭। ঔষধি গাছের বাগান।

৮। মৎস্যকন্যার মূর্তিসহ একটি পানির রিজার্ভার। এটির পাশে একটি রাক্ষসের মূর্তিও আছে।

৯। কনক্রিট দিয়ে তৈরি ডাইনোসারের মূর্তি।

১০ প্রাচীন আদলে নির্মিত কিন্তু আধুনিক ঘাট সমৃদ্ধ দিঘাল দীঘি।

১১। লেকের মাঝে বসার জন্য একটি ছোট দ্বীপ রয়েছে।

১২। এছাড়াও রয়েছে শালবন, অর্কিড বাগান সহ এখানকার তিনটি বাংলো।

এছাড়া এখানে খেজুর গাছ এবং চা গাছ লাগানো হয়েছে, যা এখনও আছে।

প্রবেশ মূল্য-

আপনি নুহাশ পল্লীতে সূর্যাস্তের পর অবস্থান করতে পারবেন না। এপ্রিল থেকে নভেম্বর দর্শনার্থীদের জন্য নুহাশ পল্লী উন্মুক্ত থাকে। ১২ বছরের বেশি প্রত্যেককে ২০০/- টাকা প্রবেশ মূল্য দিতে হবে।

খাবার-

শুক্র ও শনিবার ছাড়া নুহাশ পল্লীতে শুধু খাবার এর বেবস্থা থাকে। খাবার মেনুঃ ভাত, ডাল, মুরগির রেজালা ১ পিস (৪:১ হিসেবে), আলুর ভর্তা, পেপে ভর্তা, শুঁটকির ভর্তা, ছোট মাছ ভুনা। এই প্যাকেজ এর মূল্য ২০০/- টাকা। এছাড়া পূর্বে যোগাযোগ করে অর্ডার এর ভিত্তিতে সপ্তাহের যে কোনো দিন এই খাবার এর বেবস্থা করা যায়।

এমনিতে নুহাশ পল্লীর অভ্যন্তরে খাওয়ার ব্যবস্থা নেই। তাই আপনাকে সাথে করে খাবার নিয়ে যেতে হবে। এছাড়া নুহাশ পল্লীর অভ্যন্তরে আপনি রান্নাও করতে পারেন।

কিভাবে যাবেন-

গুলিস্তান থেকে প্রভাতী-বনশ্রী অথবা ঢাকা-ময়মনসিংহ বাসে হোতাপাড়া বাজারে নেমে সেখান থেকে ছোট টেম্পুতে করে পৌঁছে যেতে পারবেন নুহাশ পল্লীতে।

ঢাকা থেকে বাসে করে গাজীপুরের হোতাপাড়া বাসস্ট্যান্ডে পৌছাতে পারবেন। ঢাকা থেকে শ্রীপুর, মাওনা, কাপাসিয়া এবং হোতাপুরের উদ্দেশ্যে প্রভাতি- বনশ্রীসহ অথবা ঢাকা-ময়মনসিংহ বেশকিছু বাসচলাচল করে। বাসে যেতে খরচ হবে ৫০/- টাকা থেকে ৭০/- টাকা।

হোতাপাড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে ৮ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত নুহাশপল্লীতে টেম্পো, রিকশাভ্যান, অথবা বেবিট্যাক্সিতে পৌছাতে পারবেন। টেম্পোতে উঠলে ভাড়া দিতে হবে ৩০/- টাকা। এছাড়া রিকশা এবং টেম্পু অথবা সিএনজি খরচ হবে যথাক্রমে ৫০/- টাকা থেকে ৬০/- টাকা এবং ১০০/- টাকা থেকে ১২০/- টাকা।

এছাড়া নিজস্ব গাড়িতে করে নুহাশ পল্লীতে যেতে পারেন। নুহাশ পল্লীর ভিতের প্রাইভেট কার ও মাইক্রো পারকিং সম্পূর্ণ ফ্রীতে রাখা যায়। এর জন্য অতিরিক্ত কোন চার্জ নেই।

নুহাশ পল্লীতে মাত্র একদিনের জন্য পিকনিক করার ব্যবস্থা রয়েছে। এজন্য কটেজের ৪ টি কক্ষ বরাদ্দ করা আছে। নভেম্বর থেকে মার্চ মাস এখানে পিকনিক করা যায়। পিকনিকের জন্য একটি দলে সর্বচ্চ ৩০০ জন থাকতে পারবে। বন্ধের দিনে এখানে পিকনিক করতে ভাড়া দিতে হবে ৬০/- হাজার টাকা তবে সপ্তাহের অন্যান্য দিনে এই ভাড়ার পরিমান ৫০/- হাজার টাকা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য বন্ধের দিন পিকনিক করতে ভাড়া দিতে হবে ৫০/- হাজার টাকা এবং সপ্তাহের অন্যান্য দিন ভাড়া দিতে হবে ৪০/- হাজার টাকা।

যোগাযোগের ঠিকানা

সাইফুল ইসলাম বুলবুল, ব্যবস্থাপক, নুহাশ পল্লী। মোবাইল: ০১৭১২০৬০৯৭১, ০১৭৩৮৭০৪০১০। ঢাকা অফিস: পাপন খাঁন, ০১৭২২৪৩৭৮৮৩।

সংশ্লিষ্ট খবর

Back to top button