স্ত্রীকে প্রফুল্ল রাখা রাসুল (সা.)-এর সুন্নত
স্ত্রীর যথাসম্ভব চিত্তবিনোদন স্বামীর কর্তব্য। স্ত্রীকে আনন্দ দিতে ও প্রফুল্ল রাখতে শরিয়ত নির্দেশ দিয়েছে। এসবে আল্লাহ তাআলা বেশ সওয়াব দান করবেন। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে- এসব হতে হবে সম্পূর্ণ বৈধতার সীমারেখায়।
আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর কর্মপদ্ধতির মাধ্যমেও এটি প্রমাণিত। হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘মুসলমানের জন্য সব খেল-তামাশা নিষিদ্ধ। তবে ধনুক থেকে তীর চালনা, ঘোড়া চালনা, স্বামী-স্ত্রীর পরস্পরের আনন্দ-রসিকতা— এগুলো ন্যায়সংগত।’ (তিরমিজি, হাদিস : ১৬৩৭)
আয়েশা (রা.) সূত্রে বর্ণিত হয়েছে যে— তিনি এক সফরে (জনমানবহীন নির্জন উপত্যকায়) নবী (সা.)-এর সঙ্গে ছিলেন। আয়েশা (রা.) বলেন—
আমি তাঁর সঙ্গে দৌড় প্রতিযোগিতা করে তাঁকে ছাড়িয়ে আগে চলে গেলাম। পরবর্তী সময়ে আমি কিছুটা স্বাস্থ্যবান হয়ে যাওয়ার পর তাঁর সঙ্গে আবারও দৌড় প্রতিযোগিতা করি, কিন্তু এবার তিনি হারিয়ে দিয়ে বিজয়ী হন। এরপর রাসুল (সা.) আমাকে বলেন, ‘এ বিজয় সেই বিজয়ের বদলা’।
(আবু দাউদ, হাদিস : ২৫৭৮)
এতে বোঝা যায়, রাসুল (সা.) স্ত্রীর সঙ্গে কেমন রসিকতা করতেন। তাদের আনন্দ দিতে বিভিন্ন উপলক্ষ গ্রহণ করতেন।
আয়েশা (রা.) বলেন, একবার হাবশি ছোট্ট ছেলেরা মসজিদের কাছে যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে খেলাধুলা করছিল। রাসুল (সা.) আমাকে আড়াল করে দাঁড়িয়ে ছিলেন, আর আমি হাবশিদের খেলা দেখছিলাম। আমার খেলা দেখার শখ পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত রাসুল (সা.) কষ্ট করে আমার জন্য পুরোটা সময় দাঁড়িয়ে ছিলেন। তোমরা ভেবে দেখতে পারো! অল্পবয়সী একজন খেলাপাগল মেয়ের শখ একজন পূরণ হতে পারে! (বুখারি, হাদিস : ৫২৩৬)