দুধ খাওয়া ছেড়ে দিলে কি ওজন কমে?

বাড়তি ওজন নিয়ে অধিকাংশই এখন চিন্তিত। ওজন বাড়লে সেখান থেকে একাধিক সমস্যা আসে। আর তাই বাড়তি ওজন ঝরিয়ে দিতে পারলেই সবচাইতে ভাল। মানুষের লাইফস্টালেও অনেক পরিবর্তন এসেছে। অধিকাংশ সময় একটানা বসে কাজ করতে হয়। শরীরচর্চার সুযোগ নেই।

সেই সঙ্গে বেশি ক্যালোরির খাবারও খাওয়া হয়। আর এতেই ফ্যাট জমতে থাকে শরীরে। তবে ওজন কমানোর জন্য যেমন শরীরচর্চা জরুরি তেমনই কিন্তু জোর দিতে হবে ডায়েটেও। যত ভাল ডায়েট মেনে চলা যাবে তত তাড়াতাড়ি ফ্যাট গলানো যাবে।

অধিকাংশ বাড়িতেই ছোট থেকে দুধ খাওয়ানোর অভ্যাস করানো হয়। দুধ, দই, পনির এসব নিয়মিত খেলে সুস্থ থাকে। অন্য কোনো সমস্যাও আসে না। দুধের মধ্যে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ক্যালশিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ভিটামিন ও, ভিটামিন বি ১২, ভিটামিন ডি, রাইবোফ্ল্যাভিন, নিয়াসিন এসব থাকে। যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।

ওজন কমানোর জন্য নিজের মেটাবলিজম দেখে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মেটাবলিজম যত কম হবে ততই কিন্তু ওজন কম ঝরবে। আর মেটাবলিজম বেশি হলে তবে ফ্যাট বেশি ঝরবে। সেই সঙ্গে সারাদিনে কত ক্যালোরির খাবার খাওয়া হচ্ছে তাও দেখে রাখা খুবই জরুরি। আর তাই দুধ খেলে কোনো সমস্যা হয় না। তবে একেবারে ফ্যাট ফ্রি দুধ খেতে হবে।

সব থেকে ভাল যদি ডবল টোনড দুধ খাওয়া যেতে পারে। টকদই, পনির, দুধ এসব শরীরের জন্য খুবই ভাল। প্রতিদিনের খাবারের সঙ্গে মেনুতে রাখতেই পারেন। দুধ ভাল হলেও দুধ চা বা কফি কোনোটাই শরীরের জন্য ভাল নয়। এতে শরীরের ক্ষতির সম্ভাবনা থেকে যায়।

গরুর দুধ খেতে পারলে খুবই ভাল। না পেলেও মহিষের দুধ একদম নয়। এছাড়াও আমন্ড মিল্ক, লো ফ্যাট মিল্ক খান। খেতে পারেন সোয়া মিল্কও। যাদের দুধে কোনো সমস্যা থাকে তারা যদি সোয়া মিল্ক খান তাহলে খুবই ভাল। তাই ওজন কমানোর জন্য রোজ দুধ খান। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হলে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে একগ্লাস গরম দুধ খান। দুধের মধ্যে সামান্য জাফরান মিশিয়েও খেতে পারেন। আর যাদের দুধে অ্যালার্জি রয়েছে তাদের দুধ একেবারে এড়িয়ে যাওয়াই ভাল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *