গাছের ফুল-পাতা-শিকড় নিয়ন্ত্রণ করবে রক্তের শর্করা
প্রতিনিয়তই বাড়ছে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা। যদিও এই রোগের স্থায়ী কোনও সমাধানও নেই। ডায়েট আর শরীরচর্চার মাধ্যমে এই ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় মাত্র।
ডায়াবেটিস যদি মাত্রাকিরিক্ত হারে বাড়তে থাকে তাহলে পরবর্তী সময়ে সেখান থেকে একাধিক শারীরিক সমস্যার সম্ভাবনা থেকে যায়। শরীরের নানা অংশের ক্ষতি হতে পারে। স্নায়ুর সমস্যা, কিডনির সমস্যা, রেটিনার সমস্যা এসব লেগেই থাকে। ডায়াবেটিসে ইনসুলিন হরমোন একেবারেই ঠিক করে কাজ করে না। বা করলেও তুলনায় কম করে। ফলে তখন বাইরে থেকে ইনসুলিন প্রয়োগ করতে হয়।
অগ্ন্যাশয় থেকে তৈরি হয় ইনসুলিন হরমোন। সেই ইনসুলিন হরমোন পরিমাণে কম তৈরি হলেই সেখান থেকে আসে এই সমস্যা। তাই কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স রয়েছে এমন খাবারই বেশি করে খেতে হবে। সেই সঙ্গে ডায়েট তো লাগবেই।
কস্টাস ইগনিয়াস বলে একটি গাছ রয়েছে। যে গাছ রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এই গাছের পাতা কিংবা শিকড় নিয়মিত ভাবে খেতে পারলে রক্তে শর্করা থাকবে নিয়ন্ত্রণে। এই গাছ কিন্তু যে কোনও নার্সারিতে পাওয়া যায়। আর দেখতেও বেশ সুন্দর। গাছে ছোট ছোট লাল ফুল ধরে থাকে। এই গাছ মাত্র ২৫ টাকাতেই কিনতে পাওয়া যায়। এই গাছের ফুলকে বলা হয় উইথানিয়া কোগুলান্স- এই গাছের ফুল, পাতা খেতে পারলেই রক্তে শর্করা থাকে নিয়ন্ত্রণে।
এই পাতা রক্ত শর্করা কমাতে কতটা কার্যকরী তার জন্য ইঁদুরের ওপর একটি পরীক্ষা চালিয়েছিলেন গবেষকরা। টানা ১০ দিন ধরে ওই ইঁদুরগুলোকে জলে এই পাতা গুঁড়ো মিশিয়ে খাওয়ানো হয়। এরপর দেখা যায় তাদের রক্তে শর্করার মাত্রা উল্লেখযোগ্য হারেই কমে গেছে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এই পাতা খাওয়া উচিত।
এই ভেষজের একাধিক উপকারিতা রয়েছে। এই উদ্ভিদটি অশ্বগন্ধা নামে পরিচিত। শরীরে রক্ত চলাচল নিয়ন্ত্রণে রেখে হার্টকে নানা ক্ষতিকর রোগের হাত থেকে রক্ষা করে অশ্বগন্ধা। এছাড়াও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে এবং পেশীর শক্তি বজায় রাখতেও কাজে আসে অশ্বগন্ধা। আর্থ্রাইটিসের ব্যথা রুখতে উপকারী হলো অশ্বগন্ধার গুঁড়ো। পুরুষদের শরীরে টেস্টোস্টেরল হরমোনের উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতেও কার্যকরী হলো এই অশ্বগন্ধা।