বিনোদন

পুরনো ছবি সামনে আনলেন রাইমা সেন

বাংলা সিনেমার মহানায়িকা সুচিত্রা সেন। বাংলা ভাষার চলচ্চিত্রে সবচেয়ে জনপ্রিয় কিংবা বিখ্যাত নায়িকা তিনিই ছিলেন। কালজয়ী এই নায়িকা পরপারে চলে গেছেন ২০১৪ সালে। অবশ্য তিনি সিনেমা থেকে নিজেকে আড়াল করে নিয়েছিলেন সেই আশির দশকের আগেই।

সুচিত্রা সেন চলে গেলেও তিনি রেখে গেছেন উত্তরসুরী। তার মেয়ে মুনমুন সেনও একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী। ত্রিপুরার রাজপরিবারের সন্তান ভরত দেববর্মাকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন মুনমুন।

টলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রী সুচিত্রা সেনকে নিয়ে বরাবরই কৌতূহল ছিল তুঙ্গে। সেই সূত্রেই বারবার চর্চায় এসেছেন সুচিত্রা সেনের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর মেয়ে, এমনকি নাতনিও। তবে সুচিত্রার কথা যিনি বারবার মনে করিয়ে দেন দর্শকদের, তিনি রাইমা সেন। সুচিত্রার নাতনি। রূপ-লাবণ্যে রাইমাও তার নানির মতো মোহময়ী। অভিনয়েও ছড়ান মুগ্ধতা।

সম্প্রতি মা মুনমুন সেন ও বাবা ভরত দেববর্মার ৪৫তম বিবাহবার্ষিকী উপলক্ষে সমাজমাধ্যমে একটি ছবি শেয়ার করেন রাইমা সেন। সেখানে জুড়ে দেন মা-বাবা-দিদিমার পুরনো একটি ছবি।

এদিকে এক সাক্ষাৎকারে মা সুচিত্রা সেন সম্পর্কে বলতে গিয়ে মুনমুন জানান, তার মা খুব মুডি ছিলেন, সেই মেজাজার ধারা পেয়েছেন তিনি ও তাঁর দুই মেয়ে, অভিনেত্রী রাইমা সেন ও রিয়া সেন।

সুচিত্রা সেন প্রসঙ্গে মুনমুন বলেন, মা একা থাকতে ভালবাসতেন, তার মানে এই নয় যে তিনি মানুযের সঙ্গে দেখা করতেন না।

উল্লেখ্য, ১৯৫২ সালে ‘শেষ কোথায়’ সিনেমার মাধ্যমে রূপালি পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেছিলেন সুচিত্রা সেন। বর্ণাঢ্য সিনে ক্যারিয়ারে তিনি ৬১টি সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন। এর মধ্যে ৩০টি সিনেমায় জুটি বেঁধেছিলেন মহানায়ক উত্তম কুমারের সঙ্গে। সুচিত্রা সেনের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি সিনেমা হলো ‘সপ্তপদী’, ‘সাড়ে চুয়াত্তর’, ‘হারানো সুর’, ‘অগ্নি পরীক্ষা’, ‘চাওয়া পাওয়া’, ‘পথে হলো দেরি’ ইত্যাদি।

সংশ্লিষ্ট খবর

Back to top button