লাইফস্টাইল

যে অভ্যাস গুলো শরীরের ক্ষতি করে

প্রতিদিনের নানা অভ্যাস আমাদের যেমন সুস্থ থাকতে সাহায্য করে, তেমনই কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে অসুস্থতারও। কিছু অভ্যাস থাকে যেগুলো বিভিন্নভাবে শরীরের ক্ষতি করে। আমরা না বুঝেই সেসব অভ্যাসে অভ্যাস্ত হয়ে যাই। আমাদের খাদ্যাভ্যাস, চলাফেরা সবকিছুই প্রভাব ফেলে আমাদের স্বাস্থ্যে। যখন জীবনযাপন অস্বাস্থ্যকর হয় তখন আমাদের পুরো শরীর ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন কিছু অভ্যাসের কথা, যেগুলো আমাদের অজান্তেই শরীরের ক্ষতি করছে-

কাঁচা সালাদ খাওয়ার অভ্যাস
সালাদে কাঁচা সবজি ও ফল খাওয়ার অভ্যাস অনেকের। এই খাবার শরীরে শুষ্কতা ও শীতলতা তৈরি করে। তবে প্রতিদিন খেলে তা প্রভাব ফেলে পরিপাকতন্ত্রের ওপর। দীর্ঘদিন ধরে কাঁচা সালাদ খেতে থাকলে তা পেটে গ্যাস ও পেট ফাঁপার সমস্যার কারণ হতে পারে। তাই কাঁচা সালাদের পরিবর্তে হালকা মসলা ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট দিয়ে রান্না করা সালাদ খাওয়ার অভ্যাস করুন।

খালি পেটে চা-কফি পান করা
অনেকেই আছেন যারা এক কাপ কফি কিংবা চা না হলে দিনটি ঠিকভাবে শুরু করতে পারেন না। কিন্তু এই অভ্যাস কি ভালো? একদমই নয়। খালি পেটে চা কিংবা কফি পান করলে শরীরে টক্সিন বেড়ে যায়। তাই সকালে খালি পেটে হালকা গরম পানি পান করবেন, চা কিংবা কফি নয়।

ভরা পেটে গোসল করা
কোনো খাবার খাওয়ার পর তা হজমের জন্য কিছু সময় দরকার হয়। আমরা কিছু খাওয়ার পর তা শরীরে তাপ উৎপন্ন করে। এই তাপ বেশি তৈরি হয় পরিপাক অঞ্চলে। তাই খাওয়ার পরপরই কখনো গোসল করতে যাবেন না।

না চিবিয়ে খাবার খাওয়া
খাবার দেখলে গোগ্রাসে খেয়ে ফেলার অভ্যাস থাকলে তা বাদ দিন। কারণ আমাদের পেটের ভেতরে কোনো দাঁত নেই। তাই খাবার খেতে হবে ভালোভাবে চিবিয়ে। নিয়মিত খাবার চিবিয়ে খেলে তার সুফল নিজেই বুঝতে পারবেন। আর যদি ভালো করে না চিবিয়ে খান তাহলে হজমের সমস্যাসহ আরও অনেক সমস্যায় ভুগতে হতে পারে। খাবার খাওয়ার সময় অন্য কোনো কাজ করবেন না।

মলত্যাগের নির্দিষ্ট রুটিন না থাকা
খাবার খাওয়া কিংবা ঘুমের মতো মলত্যাগের জন্যও নির্দিষ্ট রুটিন থাকা চাই। অনেকেই আছেন যারা দিনের বিভিন্ন সময় মলত্যাগ করে থাকেন। এই অভ্যাস বদলাতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নির্দিষ্ট সময়ে মলত্যাগের অভ্যাস না থাকলে বর্জ্য দূর হয় না ঠিকভাবে। তাই সবচেয়ে ভালো হয় যদি ঘুম থেকে ওঠার দুই ঘণ্টার মধ্যে পেট পরিষ্কার করতে পারেন। এতে কোষ্ঠকাঠিন্যেরও ভয় থাকে না।

সংশ্লিষ্ট খবর

Back to top button