যে ৫ টি যোগাসন হাঁটুর জোর বাড়ায়
দেহের পুরো ভার বহন করে শরীর। তাই পা বিশেষত হাঁটু হতে হয় শক্তিশালী। কম বয়সে তেমন একটা সমস্যা না হলেও একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর নারী-পুরুষ নির্বিশেষে অনেকেই হাঁটুর ব্যথায় ভোগেন। এর জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী দেহের বাড়তি ওজন।
হাঁটু ব্যথা থেকে বাঁচতে ভরসা রাখতে পারেন যোগাসনে। কিছু যোগব্যায়াম রয়েছে যা নিয়মিত করলে হাঁটুর সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকে। চলুন বিস্তারিত জেনে নিই-
সমস্থিতি
হাঁটু সোজা রেখে একেবারে টান টান হয়ে দাঁড়ান। দুই পায়ের পাতা কাছাকাছি রাখুন। হাঁটু যেন না ভাঙে। এবার চোখ বন্ধ করে, দুই হাত দেহের দুপাশে প্রসারিত করুন। স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিন। প্রতিদিন অন্তত ৫বার এই ব্যায়াম করুন।
উৎকটাসন
প্রথমে সমস্থিতির মতো অবস্থানেই দাঁড়ান। এবার হাঁটু ভেঙে, কোমর সামান্য ঝুঁকিয়ে, শরীরকে চেয়ারের মতো অবস্থায় রাখুন। দুই হাত মাথার উপর তুলে হাতের তালু একসঙ্গে রাখুন। প্রথমে বেশিক্ষণ না পারলেও ৫বার করে ৩০ সেকেন্ড পর্যন্ত ধরে রাখার চেষ্টা করুন।
দণ্ডাসন
এই যোগব্যায়ামের জন্য পা ছড়িয়ে সোজা হয়ে বসুন। খেয়াল রাখবেন পিঠ যেন টান টান হয়ে থাকে। দুই হাত রাখুন দেহের দুই পাশে। পায়ের পাতা ভেতরের দিকে টেনে রাখুন। এই অবস্থায় ১০ সেকেন্ড থাকুন। এরপর ছেড়ে দিন। এভাবে প্রথমে ১০ সেকেন্ড দিয়ে শুরু করে, পরে ৪০ সেকেন্ড পর্যন্ত ধরে রাখার চেষ্টা করুন।
সামনের দিকে পা ছড়িয়ে বসুন। হাঁটু একদম সোজা রাখতে হবে। এবার গভীর শ্বাস নিয়ে কোমরের অস্থিসন্ধি থেকে শরীরটা টেনে সামনের দিকে ঝুঁকতে চেষ্টা করুন। এবার দুই হাত পায়ের পাতার পিছন দিক থেকে ধরে রাখুন। শরীর যতটুকু সামনের দিকে আসতে পারে, ততটুকুই আনার চেষ্টা করুন। প্রথম দিনেই বেশি চাপ দেবেন না।
জানুশীর্ষাসন
এই যোগাসনের জন্য সামনের দিকে পা ছড়িয়ে বসুন। এবার একটি পা পাশাপাশি ভাঁজ করে অন্য পায়ের কাছে রাখুন। একই পদ্ধতিতে গভীর শ্বাস নিয়ে কোমরের অস্থিসন্ধি থেকে শরীরটা টেনে সামনের দিকে ঝুঁকতে চেষ্টা করুন। যে পা সামনের দিকে ছড়িয়ে রেখেছেন, সেই হাঁটুতে মাথা স্পর্শ করার চেষ্টা করুন। একইভাবে দুই পায়ে এটা করার অভ্যাস করুন।
হাঁটু ব্যথায় ভরসা রাখুন ছোটোখাটো ব্যায়ামে। দীর্ঘদিন এই সমস্যায় ভুগলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।