‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ ২০২১’ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে সম্প্রতি। ৫০ জন প্রতিযোগী স্থান পেয়েছেন আয়োজনের মূল পর্বে। সেটি নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ তুললেন মডেল ও অভিনেত্রী শান্তা পাল। এবারের আসরের অংশ নিয়েছিলেন তিনি।
এ বিষয়ে ‘ঢাকা পোস্ট’ থেকে যোগাযোগ করা হয় শান্তা পালের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ অডিশনে আমি প্রায় চার ঘণ্টা ছিলাম। আমার সঙ্গে আরও ছয়জন ছিলেন। মাঝে হঠাৎ দেখি আমাদের সিনিয়র একজন মডেল ভেতরে ঢুকলেন। তার নাম মিথিলা। ভাবলাম হয়তো কোনো কাজে তিনি এসেছেন। এর পর বের হয়ে তিনি আরটিভির ক্যামেরার সামনে সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন। তিনি যা বললেন তা শুনে আমি অবাক। তিনি নাকি প্রতিযোগিতায় নির্বাচিত হয়েছেন!’
এমন ঘটনার পর মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের একজনকে ফোন দেন শান্তা। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘আমি যখন ফোন দিলাম আমাকে বলা হলো মিথিলা আপু আগেই অডিশন দিয়ে গেছেন। কিন্তু আমার সিরিয়াল ছিল ১৯২, আর মিথিলা আপুর ছিল ২০০’র ওপরে। তাহলে তিনি কীভাবে আগে অডিশন দিলেন।’
ফ্লোরা ব্যাঙ্কের এক উর্ধ্বতন ব্যক্তির প্রেমিকা মিথিলা। এজন্যই তাকে এমন সুবিধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ শান্তা পালের। তিনি বলেন, ‘ফ্লোরা ব্যাঙ্কের মালিক ডিওকের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে মিথিলা আপুর। আমি বলে রাখলাম তিনিই এবার প্রথম স্থান পাবেন। আর মিথিলা আপুকে যারা চেনে, তারা সবাই জাবে তিনি খ্যাতির জন্য কী করতে পারেন।’
শান্ত পালের এই খবর প্রকাশ করেছেন কলকাতার গণমাধ্যম ‘এবিপি আনন্দ’। সেখানে মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশের ন্যাশনাল ডিরেক্টর শফিক ইসলামের বক্তব্য প্রকাশ হয়েছে। তিনি বলেন, ‘যারা বাদ পড়েছে, তারা নিজেদের প্রথম পঞ্চাশে দেখতে না পেয়ে হিংসায় এই ধরনের মিথ্যাচার করছে। বিশেষ করে একজন মডেলই এই অভিযোগ করছে। তার মানসিক সমস্যা আছে। এই অনুষ্ঠান টিভিতে দেখানো হবে। অডিশনের ভিডিওসহ সব প্রমাণ আমাদের কাছে আছে।’
শান্তা পাল এ নিয়ে মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ফেসবুকে আরও একটি পোস্ট দেন। তিনি লেখেন, ‘মিস ইউনিভার্সের সব প্রতিযোগীরা কোথায়? তোমরা কি দেখোনি মিথিলা অডিশন দেয়নি? তোমরা তো বলেছিলে, এই খোলা জামার মেয়ে অডিশন দেয়নি। আজ তোমরা কই গেলা। হ্যাঁ, ভিআইপি অডিশনের বিষয় আলাদা। নিজের সামনেই ক্যামেরার সামনে ইন্টারভিউ নিতে দেখেছিলাম। আর সেটি অডিশনের আগে। গর্বিত বাংলাদেশ! ভালো তো!’