ঢাকা টেস্ট রোমাঞ্চ উপহার দিলেও স্বাগতিক শিবিরের জন্য ছিল বেদনাদায়ক। পাঁচ দিনের ম্যাচে আশা জাগালেও পরাজয়ের তালিকায় উঠেছে বাংলাদেশের নাম। দলের জয়ের সাক্ষী হতে এসে পরাজয়ের স্বাদ নিতে হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের। ক্ষুব্ধ পাপন সোমবার করোনার টিকা নেওয়ার পর গণমাধ্যমে জানালেন, বাংলাদেশ দলের হার দেখলে মেজাজ খারাপ হয় তার।
হার কখনো স্বস্তিদায়ক নয়। সেটি যদি হয় ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে, তাহলে অস্বস্তির মাত্রা আরও বেড়ে যায়। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে উইন্ডিজের থেকে এগিয়ে থাকলেও টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে ক্যারিবীয়দের পিছনে অবস্থান বাংলাদেশ দলের। তবে দুই দলের সম্প্রতি ফর্ম সে কথা বলছে না। কাগজে-কলমে উইন্ডিজ থেকে ঢের এগিয়ে বাংলাদেশ। তবুও মাঠের ক্রিকেটে অসহায় আত্মসমর্পণ টাইগারদের।
চতুর্থ ইনিংসে ২৩১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ওপেনার তামিম ইকবালের অর্ধশতকে জয়ের সুবাস পাচ্ছিল স্বাগতিকরা। তবে অন্য ব্যাটসম্যানরা সুবিধা করতে না পারায় ১৭ রানে ম্যাচ হারতে হয়। দলের জয় দেখতে এসে হারের সাক্ষী হতে হয় পাপনকে। ম্যাচ শেষ হওয়ার পরেই রোববার মিরপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে গোটা দল ও টিম ম্যানেজমেন্টকে এক হাত নেন পাপন।
সোমবার সকালে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে করোনারাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকার জন্য টিকা নিয়েছেন বিসিবি সভাপতি। এরপর গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পাপন জানান, ‘হেরে গেলে মেজাজ খারাপ হয়। আপনাদেরও খারাপ লাগে, আমারও খারাপ আছে। কালকে (রোববার) ছিলো রাগের কথা। আমাদের বিশ্বমানের ক্রিকেটার আছে। আমাদের আরও উন্নতি করতে হবে, এ উপলন্ধিটা আসতে হবে। মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। স্পিন ছাড়া খেলতে পারবো না, এ চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
দলে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা আনতে হবে বলে জানান পাপন, ‘শটস সিলেকশন নিয়ে ভাবতে হবে। আমরা যেভাবে আউট হয়েছি, এভাবে কেউ আউট হয় না। স্ট্রাটেজি এবং প্ল্যানিংয়ে পরিবর্তন আনতে হবে। দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা আনতে হবে।’