খেলা

কেন রিভিউ নেননি সাদমান?

একে তো করোনার কারণে দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাইরে ছিল বাংলাদেশ দল, তার আগে চোটের কারণে দলে ছিলেন না ওপেনার সাদমান ইসলাম। দলে ফিরেই রানের দেখা পেয়েছেন সাদমান। টেস্ট দলের স্কোয়াডে ওপেনিংয়ে তামিম ইকবালের সঙ্গী হিসেবে একাধিক বিকল্প থাকলেও সাদমানকে বেছে নিয়েছে টাইগার টিম ম্যানেজম্যান্ট।

তার যোগ্য প্রতিদানও দিচ্ছিলেন তিনি। ইনিংস শুরু করতে নেমে ক্যারিবীয় পেসার কেমার রোচকে চার মেরে রানের খাতা খোলেন সাদমান। আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিংয়ে অর্ধশতকও তুলে নেন। সম্ভাবনা ছিল ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট শতকের স্বাদ পাওয়ার। তবে সে সম্ভাবনার অপমৃত্যু হয়েছে তার সিদ্ধান্তের কারণেই।

কেন রিভিউ নেননি সাদমান? এমন প্রশ্নে ছুঁড়ে দেওয়া হয়েছিল তাকেও। এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘রিভিউ নেওয়া তো অবশ্যই উচিৎ ছিল। কিন্তু আমি যখন ম্যাচে ব্যাটিং করি আমার কাছে মনে হয়েছে যে ইন লাইন ছিল, উইকেট হিট করবে। তার জন্যই আমি রিভিউটা নিইনি। হতাশ তো হয়ই (ড্রেসিং রুমে)। কিন্তু এটা পার্ট অব ম্যাচ। মেনে নিতে হবে।’

সাদমান আরও যোগ করেন, ‘মুশফিক ভাই আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল কি হয়েছে? আমি মুশফিক ভাইকে বলেছি যে আমার মনে হয়েছেন ইন লাইন, উইকেট হিট করবে। তাই নেওয়া হয়নি।’

উইন্ডিজের বাঁ হাতি স্পিনার জোমেল ওয়ারিক্যানের বলে সাদমানকে এলবিডব্লিউ দেন অভিষিক্ত আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে সৈকত। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, বল চলে যাচ্ছিল লেগ স্টাম্পের অনেকটা বাইরে দিয়ে। তবে সতীর্থ মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে আলোচনা করেও রিভিউ নেননি তিনি। ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ দলের আক্ষেপ বাড়িয়েছে এই উইকেট। সাদমান ক্রিজে থাকলে আরও ভালো অবস্থানে থেকে দিন পার করতে পারতো স্বাগতিকরা।

সাদমানের আউটের প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক আকরাম খান গণমাধ্যমে বলেন, ‘আমার কাছে যেটা মনে হয়েছে চারটা (পাঁচ) উইকেটের মধ্যে দুইটা কিন্তু আমাদের বিরাট ভুল হয়েছে। একটা হল সাদমান, যেটা আউটই ছিলনা। যেহেতু আমাদের তিনটা রিভিউ ছিল সেখানে আরামে নেওয়া যেত। এটা একটা বড় ভুল। আর একটা যেটা রান আউট সেটাতো দেখেছেন। নাজমুল কিন্তু খুবই ভালো ব্যাটিং করছিল, সে বেশ প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান। ও আসলে যত তাড়াতাড়ি বাংলাদেশ দলে সেট হবে তত ভালো।’

সংশ্লিষ্ট খবর

Back to top button