যে ৫ কারণে পেটের মেদ বাড়ে
পেটে বাড়তি মেদ কারোই কাম্য নয়। কারণ এটি আমাদের সৌন্দর্য নষ্টের জন্য যথেষ্ট। শুধু এটুকু হলেও দুশ্চিন্তা কিছুটা কম হতো। পেটে বাড়তি মেদ জমলে সেখান থেকে সৃষ্টি হতে পারে নানা রোগের। মেদ জমতে পারে পেটের বিভিন্ন অংশের চারপাশে। দেখা দিতে পারে ডায়াবেটিস, রক্তচাপ, হৃদরোগসহ আরও অনেক সমস্যা।
এদিকে পেটের মেদ দূর করার জন্য আপনি চেষ্টা করে যাচ্ছেন নানাভাবে। কিন্তু কার্যকরী কোনো সমাধান খুঁজে পাচ্ছেন না! কাঙ্ক্ষিত ফল না পাওয়ার কারণ হতে পারে পেটে মেদ বৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে আপনার জানা না থাকা। পেটে মেদ জমার কারণ জানা থাকলে সহজেই তা এড়িয়ে চলা সম্ভব হয়। কিছু কারণে পেটে মেদ জমতে পারে, চলুন জেনে নেয়া যাক-
ক্ষতিকর খাবার মেদের কারণ
না না করেও সারাদিনে এমন অনেককিছু খাওয়া হয়, যেগুলো আসলে স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী নয়। যেমন ধরুন, ঘুরতে গিয়ে ফুচকা খাওয়া, আড্ডায় বসে চিপস খাওয়া কিংবা বিকেলে ক্ষুধা পেলে ফাস্টফুড খাওয়া। ক্ষুধা মেটালেও এই খাবারগুলো আসলে আপনার জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই তিনবেলা প্রধান খাবারের পাশাপাশি হালকা খাবারের ক্ষেত্রেও হতে হবে সচেতন। এমনকিছু খেয়ে ফেলবেন না যেগুলো আপনার পেটের মেদ বৃদ্ধির কারণ হতে পারে।
দায়ী হতে পারে ভুল খাদ্যাভ্যাস
ভুল খাদ্যাভ্যাস মেদ বৃদ্ধির প্রধান কারণ। কোন খাবারটি আগে এবং কোনটি পরে খাবেন তা জেনে নিন। কিছু খাবার রয়েছে যা একসঙ্গে খেলে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেসব খাবার একসঙ্গে খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। খাবার খাওয়ার পর ভরা পেটে খুব বেশি পানি পান করবেন না। এতে হজমে সমস্যা দেখা দিতে পারে। প্রতিদিন খাওয়ার পরে একবাটি টক দই খান। এটি আপনাকে বাড়তি মেদের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে পারে।
মানসিক চাপ মেদ বাড়ায়
অনেক সময় হতাশা বা মানসিক চাপ থেকেও মানুষ বেশি খেতে শুরু করে। আর এর ফল খুব একটা ভালো হয় না। কারণ বেশি খাওয়া হলে বাড়তি মেদ জমবেই। তাই সব সময় হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করুন। ঝেড়ে ফেলুন সমস্ত হতাশা ও মানসিক চাপ। কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। সেসব স্বাস্থ্যকর খাবার নিয়ম মেনে খান।
কোমল পানীয় কেন খাবেন না
ফাস্টফুড জাতীয় খাবারের সঙ্গে প্রায় সবাই কোমল পানীয় পান করেন। আবার তৃষ্ণা পেলেও অনেকে কোমল পানীয় পান করে থাকেন। এই কোমল পানীয় আমাদের শরীরের জন্য মোটেই উপকারী নয়। কারণ এতে থাকা অতিরিক্ত ক্যালোরি শরীরে মেদ বাড়িয়ে দেয় দ্রুত। তাই মেদ থেকে দূরে থাকতে চাইলে কোমল পানীয় পান করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
দীর্ঘ সময় বসে থাকা
এই বদ অভ্যাস আমাদের প্রায় সবারই রয়েছে। অফিসে কাজ করা কিংবা সোফায় বসে টিভি দেখা- এরকম আরও অনেক ক্ষেত্রে আমরা দীর্ঘ সময় বসে থাকি। মাঝে মাঝে উঠে একটু হাঁটাহাঁটির কথা ভুলে যাই। আর এই অভ্যাসের কারণে মেদ বাড়তে থাকে দ্রুত। তাই মেদ দূর করতে চাইলে কী করতে হবে তা বুঝে গেছেন নিশ্চয়ই!