চলছে শীতের মৌসুম। এসময় পিঠা-পায়েস, কম্বলের উষ্ণতা যতই ভালোলাগুক না কেন; কিছু অসুখের ভয়ও থেকে যায়। ঠান্ডার সঙ্গে মানিয়ে নিতে কিছুটা বেগ পেতে হয় আমাদের শরীরকে। তাইতো শীত এলে সর্দি-কাশির সমস্যা দেখা দেয় ঘরে ঘরে।
প্রতিবছর শীতে সর্দি-কাশির সমস্যা দেখা দিলেও ততটা ভয়ের কারণ থাকে না। কিন্তু এবছর যোগ হয়েছে বাড়তি দুশ্চিন্তা। কারণটা হলো করোনাভাইরাস নামক মহামারী। কারণ এক বছর পেরিয়ে গেলেও এই রোগের বিদায় নেয়ার নাম নেই। তাই সতর্কতা একটু বেশিই মেনে চলতে হবে।
সর্দি-কাশি সাধারণ সমস্যা হলেও এবছর এটি আতংক হিসেবে দেখা দিয়েছে। তবে সর্দি-কাশি হলেই যে তা করোনাভাইরাস হবে এমনটা নয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় এটি সাধারণ সর্দি-কাশি। তাই এমন সমস্যায় আতংকিত না হয়ে সঠিক চিকিৎসা নিতে হবে। শীতের এই সময়ে সর্দি-কাশি থেকে বাঁচতে মেনে চলুন কিছু করণীয়-
পর্যাপ্ত ভিটামিন সি খান
গলা ব্যথা কিংবা সর্দি-কাশি দেখা দিলে একটু পরপর হালকা গরম পানি পান করুন। পাশাপাশি খান পর্যাপ্ত ভিটামিন সি। সর্দি-কাশি থেকে বাঁচতে আপনাকে সাহায্য করবে ভিটামিন সি। বাজারে পাওয়া যাচ্ছে প্রচুর কমলা। প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় কমলা রাখতে পারেন। এছাড়াও লেবু, আমলকী, কাঁচা মরিচ পেয়ারা ইত্যাদিতে প্রচুর ভিটামিন সি পাওয়া যায়।
সর্দি-কাশিতে উপকার করে মশলা চা
সর্দি-কাশি নিরাময়ে সাহায্য করতে পারে বিভিন্ন মশলাযুক্ত চা। আদা দেয়া চা এক্ষেত্রে খুবই উপকারী। আপনি চাইলে লবঙ্গ, গোল মরিচ, তেজপাতা ইত্যাদি ফুটিয়েও চা তৈরি করে পান করতে পারেন। এর পাশাপাশি মৌসুমী ফল, শাক-সবজি, বাদাম ইত্যাদি খেতে হবে নিয়মিত।
জীবাণুমুক্ত থাকুন
বাইরে বের হলে মাস্ক পরে বের হবেন। হাঁচি-কাশির সময় নাক-মুখ ঢেকে রাখুন। এক্ষেত্রে নিজের পাশাপাশি অন্যরাও নিরাপদ থাকবে। ঘন ঘন হাত পরিষ্কার করুন। চেষ্টা করুন হাত জীবণুমুক্ত রাখতে। এড়াতে হবে ঘন ঘন চোখে-মুখে হাত দেয়ার অভ্যাসও।
ঠান্ডা-গরম একসঙ্গে নয়
একইরকম তাপমাত্রায় থাকার চেষ্টা করুন। যেমন ধরুন, বাইরে থেকে ফিরেই হুট করে গোসলে ঢুকে যাবেন না। অনেকে আবার ঠান্ডা পানি খান বেশি। এমনটা করা যাবে না। চেষ্টা করুন পানি হালকা গরম করে নিতে। ঠান্ডা-গরম দুটি যেন একসঙ্গে না লাগে, সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
যতটা সম্ভব বিশ্রাম নিন
যদি সর্দি-কাশি দেখা দেয় তবে যতটা সম্ভব বিশ্রাম নিন। চেষ্টা করুন বাড়িতে থাকার। আমাদের শরীর যেকেনো ভাইরাসের বিরুদ্ধে দ্রুতই রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারে। তাই পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিয়ে শরীরকে সহযোগিতা করতে হবে।